প্রকাশিত: ১৬/১২/২০১৮ ৮:৪৩ এএম

মিয়ানমারের যুদ্ধবিধ্বস্ত ও দারিদ্র্যক্লিষ্ট দুটি এলাকা থেকে হাজারো নারী পাচার হচ্ছে চীনে৷ সেখানে নিয়ে তাঁদের চড়া দামে বিক্রি করা হয়৷ পরে জোর করে বিয়ে করে সন্তান জন্ম দিতে বাধ্য করা হয়৷ যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত গবেষণায় এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে৷ খবর জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলের।

চীনে অবস্থানরত এবং চীন থেকে মিয়ানমারে ফেরা নারীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে গবেষণাটি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেল্থ৷ গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের কাচিন ও শান থেকে অন্তত সাড়ে সাত হাজার নারী চীনে পাচার হয়েছে৷ পাচারের সঙ্গে স্থানীয় কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি, এমনকি নারীদের পরিবারের কোনো সদস্যও জড়িত থাকেন৷ অনেক ক্ষেত্রে নারীরা ইচ্ছার বিরুদ্ধেই দেশত্যাগে বাধ্য হন৷ তবে অনেক ক্ষেত্রে যে দারিদ্র্যও তাঁদের বাধ্য করে সে বিষয়টিও উঠে এসেছে গবেষণায়৷

চীনে দীর্ঘদিন ‘এক সন্তান নীতি’ চালু থাকায় নারী আর পুরুষের সংখ্যায় খুব বড় রকমের পার্থক্য দেখা দিয়েছে৷ এক হিসেব বলছে, এ মুহূর্তে দেশটিতে পুরুষের চেয়ে ৩ কোটি ৩০ লক্ষ নারী কম রয়েছে৷ এর ফলে অনেক পুরুষই অবিবাহিত থেকে যাচ্ছেন৷

জনস হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেল্থ-এর গবেষণার অন্যতম গবেষক ডাব্লিউ. কোর্টল্যান্ড রবিনসন বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, এশিয়ার কয়েকটি দেশ থেকে দরিদ্র পরিবারের নারীদের কিনে নিয়ে বিয়ে করা এবং সন্তানের জনক হওয়ার প্রবণতা মূলত চীনের গ্রামাঞ্চলের পুরুষদের মধ্যেই বেশি৷

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাই কম্বোডিয়া, লাওস, মিয়ানমার এবং ভিয়েতনামের অনেক নারী বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটিতে পাচার হয়েছেন৷ বেশি পাচার হয়েছেন মিয়ানমারের শান এবং কাচিন থেকে৷

গবেষণা থেকে জানা যায়, চীনের গ্রামাঞ্চলের বিয়েতে আগ্রহী অথচ পাত্রী পান না, এমন পুরুষরা কম বয়সি নারীই বেশি পছন্দ করেন৷ তাই কম বয়সি নারীর দামই বেশি৷ নারীর দাম ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার ডলারের মধ্যে ওঠা-নামা করে বলেও গবেষণাপত্রটিতে বলা হয়েছে৷ কিন্তু ওই দামে কোনো নারীকে কিনে নেয়ার পর অনেক পুরুষ সন্তান জন্ম দেয়ার পর সেই নারীকে আবার অন্য কারো কাছে বিক্রি করে দেন৷

জনস হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেল্থ-এর এই গবেষণায় মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছেন মুন নে লি৷ তিনি জানালেন, মিয়ানমারের অনেক নারী চীন থেকে পালিয়ে এসেও রেহাই পান না৷ এমন নারীর দেখাও তিনি পেয়েছেন, যিনি দু’বার চীন থেকে পালিয়ে এসেছেন৷ তাতে কোনো লাভ হয়নি৷ ফেরার পর আবার ধরে নিয়ে বিক্রি করা হয়েছে তাঁকে৷

পাঠকের মতামত

মিয়ানমার জান্তা ঘনিষ্ঠদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

মিয়ানমারের সামরিক জান্তাঘনিষ্ঠ চার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন অর্থ ...

বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ব্ল্যাকলিস্ট, তালিকায় এক ডজন দেশ

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ ও ভিসা পাওয়া আগের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন ...

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে আসিয়ান

রাখাইন রাজ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় মিয়ানমারের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। পাশাপাশি ...

ফিলিস্তিনপন্থি গ্রুপকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন টিউলিপ

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে প্রো-প্যালেস্টাইন কর্মসূচির সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবে ...